জন্ম ও শিক্ষাজীবন
ব্রিটিশ ভারতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
কাব্যকীর্তি ও বিপ্লবী জীবন
ছোটবয়স থেকেই তিনি গ্রাম্য গান ও কবিতা রচনায় পারদর্শী ছিলেন।
দেশভাগ ও ভারতে আগমন
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের দেশভাগের পরপরই তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে আসেননি।
ভারতে বিপ্লবী জীবন
‘জনযুদ্ধ’ পত্রিকার ১৯৪২ সালের ১লা জুলাই সংখ্যায় নিবারণ পণ্ডিতের ‘জনযুদ্ধের ডাক’ নামের কবিতাটি প্রকাশের পর তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
জীবনাবসান
কলকাতায় দীর্ঘ চিকিৎসার পর ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ি-কলেরপাড় এলাকায়, নিজ গৃহে তার জীবনাবসান ঘটে।
সংগৃহীত রচনাবলী
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার প্রগতি লেখক ও শিল্পী সঙ্ঘ ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লোকসঙ্গীত নামে একটি সংকলন প্রকাশ করে যেখানে নিবারন পণ্ডিতের কিছু গান পাওয়া যায়।
নিবারন পণ্ডিতের ছবি



কবির প্রথম জীবনে লেখা প্রতিবাদী কবিতা, গান ও বিভিন্ন রচনাগুলি কালের গর্ভে হারিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি দ্বারা ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত লোককবি নিবারন পণ্ডিতের গান পুস্তকে লেখক কঙ্কন ভট্টাচার্য তার বেশকিছু গানকে স্বরলিপি সহ সংকলিত করেছেন।
সত্তর মাস অজ্ঞাতবসে থাকার পর পাকিস্তান সরকারের দশম হামলায় আমি ধরা পড়ি ও নোয়াখালির কুখ্যাত গোলাম সারোয়ারের হাতে পড়ি। তারপর বন্ধু, জার্মান ও জাপানি ফ্যাস্টদের পৈচাশিক অত্যাচারের যে সকল নির্মম কাহিনি কাগজে পড়িলাম, বাস্তবক্ষেত্রে তাহার সম্মুখীন হইলাম এবং মৃত্যুর জন্যই প্রস্তুত হইলাম। সকাল ৮টা হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহের উপর বিভিন্ন প্রকারের অত্যাচার চলিত। কখনো জ্ঞান ছিল, কখনো ছিল না। অবশেষে একটি ছোট্ট কুঠরিতে রেলিং-এর সাথে হাত পা বাধিয়া মাংসপিণ্ডের মত ফেলিয়া রাখা হইত….
কবির প্রথম জীবনে লেখা প্রতিবাদী কবিতা, গান ও বিভিন্ন রচনাগুলি কালের গর্ভে হারিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি দ্বারা ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত লোককবি নিবারন পণ্ডিতের গান পুস্তকে লেখক কঙ্কন ভট্টাচার্য তার বেশকিছু গানকে স্বরলিপি সহ সংকলিত করেছেন।
নিবারন পণ্ডিতের গান
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি দ্বারা ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত লোককবি নিবারন পণ্ডিতের গান পুস্তকে লেখক কঙ্কন ভট্টাচার্য তার বেশকিছু গানকে স্বরলিপি সহ সংকলিত করেছেন